ত্রিশোর্ধ্ব গ্রুপকে টার্গেট করে সেক্স টয় বিক্রি করতো তারা

সেক্স টয় বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী থেকে এই চক্রের মূল হোতাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিম।

সিআইডি বলছে, ত্রিশোর্ধ্ব গ্রুপকে টার্গেট করে উচ্চমূল্যে নিষিদ্ধ এই সেক্স টয় বিক্রি করতো চক্রটি। এর জন্য ফেসবুক বিভিন্ন পেইজসহ নানা ওয়েবসাইট খোলে সেক্স টয়ের যৌন উদ্দীপক বিজ্ঞাপন দিত তারা।

রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদরদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডির সাইবার ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো.কামরুল আহসান।

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন রেজাউল আমিন হৃদয় (২৭), মীর হিসামউদ্দিন বায়েজিদ (৩৮), সিয়াম আহমেদ ওরফে রবিন (২১), মো.ইউনুস আলী (৩০), আরজু ইসলাম জিম (২২) ও চক্রের মূল হোতা মেহেদী হাসান ভূইয়া ওরফে সানি (২৮)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকার সেক্স টয় ৫ টি মোবাইল ফোন, ১ টি ল্যাপটপ ও ৯ টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার ৬ জনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি মামলা করা হয়।

মো.কামরুল আহসান বলেন, কিছুদিন আগে রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রীর ধর্ষণের ফলে মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, বিকৃত যৌনাচার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় সে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে, তাকে নির্যাতনের সময় এক ধরনের ফরেন বডি ব্যবহার করেছিল। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সিআইডির সাইবার মনিটরিং এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিমের নজরে আসে।

পরে অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায়, কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ফেসবুক পেজে দেশে বিক্রি নিষিদ্ধ যৌন উদ্দীপক বিভিন্ন পণ্যের ছবি এবং ভিডিওসহ বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। সাইবার মনিটরিং এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিম এ ধরণের কয়েকটি ওয়েবসাইট ফেসবুক পেজকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

ওয়েবসাইট ও পেইজগুলোর বিষয়ের নিবিড় অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডির সাইবার মনিটরিং এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিম। অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব পণ্য বিক্রির আর্থিক লেনদেন হয় বিকাশ ও রকেটে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, চক্রটি বিদেশ থেকে অবৈধ পণ্য আমদানির আড়ালে এসব নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশ নিয়ে আসছে। পরবর্তীতে ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোভনীয় বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে।

সিআইডির এই অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ১২ লাখ টাকার অবৈধ সেক্স টয় উদ্ধার করেছি। প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এসব পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলছে। যেমন লাইকি, টিকটক ব্যবহার করে একটি ক্লোজ গ্রুপ তৈরি করে, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ডিজে পার্টির আড়ালে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলছিল।

টার্গেটকৃত ব্যক্তি কারা

কামরুল আহসান বলেন, এই চক্রের কয়েকটি ওয়েবসাইট আছে। ওই ওয়েবসাইটে যেকেউ প্রবেশ করলেই প্রলুব্ধ হয়ে যাবে। তবে তারা বিশেষ করে ত্রিশোর্ধ্ব একটি গ্রুপকে টার্গেট করে তারা এসব নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি করত। তাছাড়া একাকীত্ব জীবন যাপন করছে যারা তাদেরও টার্গেট চক্রটি।