বংশাল ও সবুজবাগ থানাতেও মেশিনগান নিয়ে পাহারায় পুলিশ

সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মাণবাড়িয়ার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুরুত্বপূর্ণ থানাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে এবার রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশাল ও সবুজবাগ থানা ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। থানা দুটির ভবনে বাংকার তৈরি করে লাইট মেশিনগান (এলএমজি) নিয়ে পাহারা দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির।

তিনি বলেন, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে গত ১০ এপ্রিল থানায় বাংকার তৈরি করা হয়। এসব বাংকারে ২৪ ঘণ্টা এলএমজি নিয়ে প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন থানার নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, মতিঝিল বিভাগের সবগুলো থানার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মতিঝিল, সবুজবাগ, খিলগাঁও, পল্টন মডেল, রামপুরা, মুগদা ও শাজাহানপুর থানায় বালুর বস্তা দিয়ে নিরাপত্তা চৌকি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে থানার বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের দিয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

ঢাকার ১৪ থানায় বাংকারে মেশিনগান নিয়ে পাহারায় থাকবে পুলিশ

পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটিও থানারও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মূলত মাদ্রাসা অধ্যুষিত এলাকা এবং তুলনামূলক জরাজীর্ণ থানায়গুলোর নিরাপত্তা বেশি দেওয়া হচ্ছে। ডিএমপির ওয়ারী বিভাগে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ জানিয়েছেন, ওয়ারী বিভাগের সব থানায় নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী থানা, ডেমরা থানা, শ্যামপুর থানা, যাত্রাবাড়ী থানা, গেন্ডারিয়া থানা ও কদমতলি থানায় এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় হরতাল সমর্থনকারীরা। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর ও ঢাকায় হামলা-ভাঙচুর চালায়। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা, ভূমি অফিস, সড়কে থাকা গাড়ি ও বসতবাড়। এরপরই পুলিশ সদর দফতর থেকে দেশের সবগুলো থানার নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার থানার আশেপাশে সবসময় একাধিক দলের টহল ও ঢাকার সব থানার নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।