বিয়ের আসর থেকে পুলিশের সাহায্য চান কলেজছাত্রী

পুলিশের সহায়তা নিয়ে নিজের বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন এক কলেজছাত্রী। পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানা পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বিয়েটি বন্ধ করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কলেজছাত্রী তমালিকা (ছদ্মনাম)। এসএসসিতে এ প্লাস পেয়েছে। সে সাভার মডেল কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ে। পড়াশোনা করে বড় হবে এই তার ইচ্ছা। কিন্তু তার বাবা জোর করে বিয়ে ঠিক করেছেন। কেড়ে নেওয়া হয় তার মোবাইল ফোন। কারও কাছে সাহায্য চাওয়ার সব উপায় বন্ধ হয়ে যায়। এরইমধ্যে এসে যায় বিয়ের দিন। বর এসেছে। এসেছেন অতিথিরাও। এক ফাঁকে বিয়েতে আসা এক অতিথিকে অনুরোধ করে সে। ওই অতিথির মোবাইল থেকে সহপাঠী এক বন্ধুকে ফোন করে সাহায্য চায়।

সোহেল রানা জানান, ওই ছাত্রী বন্ধু পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত পুলিশের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে বার্তা পাঠিয়ে সহায়তা চায়। তাৎক্ষণিকভাবে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার ওসি আসলাম হোসেনকে বার্তাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বিয়েটা হয়ে যেতে পারে, তাই কাছাকাছি এলাকার এক জনপ্রতিনিধিকে ফোন করে তার সহায়তা চায় পুলিশ। তিনি ছুটে গিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বিয়ে থামান। পুলিশও পৌঁছে যায় কিছুক্ষণের মধ্যে। বিয়েটা থেমে যায়।