ভার্চুয়াল আদালতে ৮৪৭ হাজতির জামিন

করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে সারা দেশের অধস্তন আদালতে ১৬৮৮টি আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানি ও নিষ্পত্তি করে ৮৪৭ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সর্বমোট ২৩ কার্যদিবসে ৭৬ হাজার ১১৬টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে মোট ৪০ হাজার ৮৫১ জন হাজতি জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ মে) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ‘করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন এবং অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তের ওপর শুনানি হচ্ছে। সোমবার (১৭ মে) সারা দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে ১৬৮৮টি জামিনের দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ৮৪৭ জন হাজতি অভিযুক্ত আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর প্রথম দফায় ২০২০ সালের ১১ মে থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৫৮ কার্যদিবসে সারা দেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৯টি ফৌজদারি মামলায় জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয় এবং ৭২ হাজার ২২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির (শিশু সহ) জামিন মঞ্জুর করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়— ‘করোনা সংক্রমণের ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুরো নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।’

এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।