নিখোঁজের ৮ দিন পর মর্গে মিললো ঢাবি ছাত্রের লাশ

নিখোঁজের ৮ দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশনের গ্রন্থাগার বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাওয়া গেছে।

সোমবার (২৩ মে) হাফিজুর রহমানের বড় ভাই হাবিবুর রহমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে গিয়ে  তার লাশ শনাক্ত করেন।

হাফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

হাফিজুর রহমানের বড় ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঈদের পরের দিন শনিবার সকালে আমার ছোট ভাই হাফিজ গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। সেদিন সন্ধ্যায় মা তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেছেন। এরপর থেকে তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিজ এলাকার থানায় জিডি করা হয় এবং শাহবাগ থানায়ও বিষয়টি জানানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের ছবির সঙ্গে একটি লাশের সাদৃশ্য পাওয়ায় আজকে শাহবাগ থানার ওসি আমাদের ফোন করে ঢাকায় এনে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে নিয়ে যান। সেখানে আমার ভাইয়ের লাশটি শনাক্ত করেছি আমরা।’

শাহবাগ থানার ওসি মামুনুর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘গত শনিবার (১৫ মে) হাফিজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে এসে ‘আমাকে মাফ করে দাও! আমাকে মাফ করে দাও!’  বলতে বলতে এসে ওখানকার ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজের গলায় চালায়। এরপর দৌড়ে মেডিক্যাল কলেজের বহির্বিভাগের সামনে চলে যায়। সেখান দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় সে চলন্ত রিকশা থেকে লাফ দেয়। ডাক্তার তার চিকিৎসা করা অবস্থায় সে চিকিৎসা নিতেও অস্বীকৃতি জানায়।  এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাফিজ নামের ওই যুবক মারা গেলে তার লাশ মর্গে রাখা হয়।’

এ ঘটনায় তখন একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান তিনি।

পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি মামুনুর রশীদ বলেন, ‘তার পরিবার বা বন্ধু মহলের কেউ অভিযোগ করলে সে অনুযায়ী তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’