‘গায়েবি বাদী’কে খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া রিটের শুনানি ১৩ জুন

এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অর্ধশত ‘হয়রানিমূলক মামলা’র গায়েবি বাদীকে খুঁজে বের করতে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির প্রতি নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর আগামী ১৩ জুন শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৮ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের শুনানিতে উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বসির।

এর আগে গত ৭ জুন রাজধানীর শান্তিবাগের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে আইনজীবী এমাদুল হক বসির এ রিটটি দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি), র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে মামলার ‘ভুয়া বাদী’দের খুঁজে বের করার নির্দেশনার পাশাপাশি এ  ঘটনায় ‘ক্ষতিগ্রস্ত রিট আবেদনকারী’ একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। কিন্তু একটি মামলারও বাদী খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিবেচনায় অনেক মামলায় তিনি খালাসও পেয়েছেন। তারপরও তার বিরুদ্ধে এভাবে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করায় তার মৌলিক অধিকার লংঘিত হয়েছে। এসব মামলায় এক হাজার ৪৬৫ দিন জেলও খেটেছেন একরামুল।