মানি লন্ডারিং মামলায় গোল্ডেন মনিরসহ ৪ জনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ

গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় গোল্ডেন মনিরসহ ৪ জনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অপর আসামিরা হলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন ও রিয়াজের ভাই হায়দার আলী।

মঙ্গলবার (৮ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ নির্দেশ দেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এদিন আদালতে তাদের ৪ জনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার (১৯ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১১ মে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় গোল্ডেন মনিরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

এই মামলার অপর আসামিরা হলেন মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তার, ছেলে রাফি হোসেন, বোন নাসিমা আক্তার, নাসিমার স্বামী হাসান আলী খান, মনিরের ভগ্নিপতি নাহিদ হোসেন, গোল্ডেন মনিরের সহযোগী আবদুল হামিদ, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, রিয়াজের ভাই হায়দার আলী এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক।

২০২০ সালের ২০ নভেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সে সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ ও প্রায় ৯ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়।

ভূমি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় রাজউক ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে রাজউকের ৭০টি নথি নিজ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আইন বহির্ভূতভাবে হেফাজতে রাখার অপরাধে একটি মামলা করে। এ ছাড়া অনৈতিকভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করায় দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে।