নাসির উদ্দিনের রিমান্ড শুনানিতে যা বললেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী

অভিনেত্রী পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেফতার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচজনকে বিমানবন্দর থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালত রিমান্ড আবেদন শুনানি নিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির সাতদিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই মামলার অপর তিন আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা তিনজন হলেন- লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)।

এদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু আদালতে শুনানিতে বলেন, সাভারের বোট ক্লাবে অভিনেত্রী পরীমণিকে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় সাভার থানায় পরীমনি ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলা মামলা করেন আসামির বিরুদ্ধে। তারপর গোপন সংবাদের মাধ্যমে নাসির ও অমিসহ পাঁচ আসামিকে উত্তরার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনার সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি মদ ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয় বলেও আদালতকে জানান পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, আসামি নাসির উদ্দিন এই বাড়িটি আমোদ ফূর্তির জন্য ব্যবহার করতেন। যেখানে বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টোলারেন্স ঘোষণা করেছে, সেখানে আসামিরা বাড়িটিতে মদের আড্ডা বসাতেন। তাই এই আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আমরা মনে করি।

এর আগে সোমবার (১৪ জুন) নাসির উদ্দিন আহমেদ ও অমিসহ পাঁচ জনকে উত্তরা থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এর আগে সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ অজ্ঞাত চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নায়িকা পরীমণি। সোমবার দুপুরে পরীমণি নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।