সংসদ সচিবালয়ের কোয়ার্টারে মরদেহ উদ্ধার: ‘প্রতারক’ স্বামী গ্রেফতার

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কোয়ার্টারে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত ওই নারীর স্বামী মো. মিল্লাত মামুনকে (২৭) গ্রেফতার করেছেন র‌্যাব-২ এর সদস্যরা। র‌্যাব বলছে, প্রতারণা করে ধর্মান্তরিত করে নিবেদিতা রোয়াজা ওরফে নুসরাত জাহান (২৭) নামের ওই নারীকে বিয়ে করেছিলেন কথিত পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতে র‌্যাবের লিগাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গ্রেফতারের পর মিল্লাত মামুন র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন, নিহত নিবেদিতা রোয়াজার কাছে নিজেকে বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রথমে প্রেম করেছেন। পরে তাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে সংসদ সচিবালয় কোয়ার্টারে ভাড়া থাকা শুরু করেন। সবকিছু জানতে পেরে এবং মিল্লাতের নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে গত ১২ জুন আত্মহত্যা করেন নিবেদিতা।

এর আগে গত ১২ জুন শেরেবাংলা নগর থানা এলাকার জাতীয় সংসদ সচিবালয় কোয়ার্টার থেকে নিবেদিতা রোয়াজা ওরফে নুসরাত জাহান নামের ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় পরদিন নিহতে বাবা রত্ন কান্তি রোয়াজা শেরেবাংলা নগর থানায় ওই নারীর স্বামী মো. মিল্লাত মামুনকে (২৭) আসামি কররে একটি আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা দায়ের করেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র‌্যাব-২ এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। ১৫ জুন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী দারুস সালাম থানার কল্যাণপুর খাজা সুপার মার্কেট এর শাহ ফতেহ্ আলী পরিবহনের টিকেট কাউন্টার থেকে মো. মিল্লাত মামুনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত মো. মিল্লাত মামুন ২০১৯ সালে বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে নিবেদিতা রোয়াজা ওরফে নুসরাত জাহানকে (২৭) প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে নুসরাতকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক আঘাত এবং নির্যাতন করতেন। ওই নারী নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে গত ১২ জুন আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে।

মিল্লাত মামুনকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শেরেবাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।