অর্থ আত্মসাতের মামলায় বিডিডিএল-নতুনধারার এমডির স্বীকারোক্তি

গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দায়ের করা মামলায় ‘বিডিডিএল-নতুনধারা হাউজিং লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসিবুল হক সরকার ওরফে ফুলু সরকারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৬ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি হাসিবুলকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করেন তদন্তকর্মকর্তা। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত হাসিবুলের জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৩ জুন  ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, এ মামলার বাদী আজিজুল কবিরসহ  আরও  ১০ জন গ্রাহক ২০০৬ সালে বিডিডিএল-নতুনধারা হাউজিং প্রজেক্টে মোট ১১টি ফাইলে প্লটের বুকিং দেন। তারা মোট ১৩৭ কাঠা জমি বাবদ মোট ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা হাসিবুল হক সরকারকে পরিশোধ করেন।

চুক্তিপত্রের শর্ত মোতাবেক ২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে সব অবকাঠামো এবং বাউন্ডারি দেয়ালসহ প্লটগুলো বাদীসহ অন্যদের বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও বিডিডিএল নতুনধারা হাউজিং লিমিটেডের এমডি আসামি হাসিবুল হক তা বুঝিয়ে না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এরপর বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, ২০১৪ সালে আসামি হাসিবুল হক সরকার ওরফে ফুলু সরকারসহ কয়েকজন কোম্পানির পরিচালকদের সই ও টিপসই জালিয়াতি করে  নিজেদের নামে শেয়ার কিনে নিয়েছেন।