২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় ২০১৬ সালে পাস করা এসএসসি শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২১ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনিক আর হক। তাকে সহযোগিতা করেন সাইফুল ইসলাম সোহেল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার জন্য দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথমে ৩ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, ২০১৬ হতে ২০১৮ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০১৯ ও ২০২০ সালের এইচএসসি/সমমান ডিপ্লোমা-ইন কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে এইচএসসি ভোকেশনাল, এ লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই কেবল ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে।

পরে ৩১ মার্চ আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৬ সাল বাদ দিয়ে সেখানে ২০১৭ সাল উল্লেখ করা হয়। পরে এই ৩১ মার্চের বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬ সালের শিক্ষার্থী আবির হাসানসহ ১২ জন শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট, ইসলামী বিশ্ববিদ্যায় কুষ্টিয়াসহ ২৪ জনকে বিবাদী করা হয়।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ বিজ্ঞপ্তিটির বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করলেন হাইকোর্ট।