ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপালের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ঘুষ গ্রহণ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ দিন দুদকের পক্ষ থেকে মোশারফ হোসেন কাজল আদালতে আসামি পার্থ গোপালের দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘আসামি পার্থ গোপাল যেকোনও সময় বিদেশ চলে যেতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি যেন বিদেশ যেতে না পারেন সে বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখাকে (এসবি) নির্দেশ দেওয়া জরুরি। পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে এসবি পুলিশকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের নির্দেশ দেন।

গত ১৭ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল সমাজী জামিন আবেদন করলে আদালত ১৫ জুলাই পর্যন্ত পার্থ গোপালের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে মামলাটির কার্যক্রম বিশেষ জজ আদালত-১০ এ ছিল। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মামলাটি নিয়ে বিব্রত বোধ করায় মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ বদলির আদেশ দেন। গত ৪ নভেম্বর পার্থ বণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে ২৯ অক্টোবর অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এ বদলির আদেশ দেন। এর আগে গত ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অভিযান চালানো হয়। ওই দিন বিকালে ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এরপর তাকে আটক করা হয়। পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত কারা উপমহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এই টাকা গোপন করে তার নামে কোনও ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।