ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ১৫ জুলাই

ঘুষ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় বরখাস্ত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ এতদিন বন্ধ ছিলো। আদালতের বিচার কার্যক্রম চালু হওয়ায় নতুন এ দিন ধার্য হলো।

গত ১৭ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী এহসানুল সমাজী জামিন আবেদন করলে আদালত আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত পার্থ গোপালের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে মামলাটির কার্যক্রম বিশেষ জজ আদালত-১০ এ ছিলো। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মামলাটি নিয়ে বিব্রত বোধ মনে করায় মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ বদলির আদেশ দেন। এর আগে গত ৪ নভেম্বর পার্থ বণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে ২৯ অক্টোবর অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এ বদলির আদেশ দেন। এর আগে ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অভিযানে যায় দুদক। ওইদিন বিকেলে ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এরপর তাকে আটক করা হয়। পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এই টাকা গোপন করে, তার নামে কোনও ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে, বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।