নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহবায়ক করে সাত সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম ব্যাপারী। তিনি বলেন, আমাকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এর রিপোর্ট দিতে হবে।

কমিটিতে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক, পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং কলকারখানা অধিদফতরের একজন প্রতিনিধি থাকবেন। 

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শ্রমিক হতাহতের ঘটনায় কারাখানা মালিকপক্ষের কোনও গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই কারখানা ভবনটিতে তখন প্রায় চারশ’র বেশি কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ মোড়কিকরণের প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় কয়েকটি ফ্লোরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর সোয়া একটা পর থেকে কারখানার ভেতরে থেকে লাশ বের করে আনতে থাকেন উদ্ধারকর্মীরা। এসময় ৪৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এরআগে, আগুনে নিহত তিন জনের লাশসহ মোট ৫২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। কারখানায় আগুনের ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। 

আরও পড়ুন:

ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে ৪৯ লাশ 

আগুনে পোড়া লাশের সারি, স্বজনদের আহাজারি

দীর্ঘ সময়েও আগুন নেভাতে না পারায় স্থানীয়দের হামলা

যে কারণে দীর্ঘ সময়েও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জুস ফ্যাক্টরির আগুন

১৭ ঘণ্টায় নেভেনি জুস কারখানার আগুন, নিহত ৩

কান্না চোখে স্বজনের খোঁজ (ফটো স্টোরি)