রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার টিকটক হৃদয়ের অন্যতম সহযোগী হিরো অনিককে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (১১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে অনিককে আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত অনিকের অস্ত্র মামলায় তিন দিন এবং ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া অপর চার আসামি শহিদুল ইসলাম অ্যাম্পুল, আবির আহমেদ রাকিব, সোহাগ হোসেন আরিফ ও মোহাম্মদ হিরোর ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ৮ জুলাই রিমান্ড শেষে এই চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে রবিবার (৪ জুলাই) দিনগত রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগাজিন, ৫টি ধারালো অস্ত্র, ১টি চেইন, ৩০০ পিস ইয়াবা, ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩ হাজার ৪০০ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাবের লিগাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতারকৃত অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিক মগবাজার, হাতিরঝিল ও আশপাশের এলাকায় একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা। বর্তমানে তার নামে হত্যা, মাদক ও অস্ত্র, ডাকাতিসহ ৯টি মামলা রয়েছে। অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিক মাদক ডেলিভারির কাজ করতো। তার গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ২০-২৫ জন। সে ২০১৬ সালের আলোচিত ‘আরিফ হত্যা’ মামলার মাধ্যমে পরিচিতি পায়। তার এই সংঘবদ্ধ দল মগবাজার, মধুবাগ, মীরবাগ, নতুন রাস্তা পেয়ারাবাগ, চেয়ারম্যান গলি, আমবাগান ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক সিন্ডিকেট ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে সে ও তার দল হাতিরঝিলে আসা দর্শনার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো। হাতিরঝিল এলাকা দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় টিকটিক গ্রুপের কার্যকলাপগুলোও সে নিয়ন্ত্রণ করতো। টিকটক হৃদয়ের অন্যতম সহযোগী ছিল সে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে এ্যাম্পুলের নামে মাদক এবং চুরির ৬টি মামলা রয়েছে। আবির আহমেদ রাকিবের নামে ২টি মামলা রয়েছে, মো. সোহাগ হোসেন আরিফের নামে নারী ও শিশু অপহরণ, মাদক এবং ডাকাতির ৩টি মামলা রয়েছে এবং হিরার নামে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আঘাত এবং চুরির ১টি মামলা রয়েছে।