স্ত্রী হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেলেন স্বামী

দীর্ঘ ১৪ বছর পর স্ত্রী হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বামী আব্দুল আউয়াল খানকে হাইকোর্টের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার (১৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্টতার ভিত্তিতে এ রায় দেয়।
 
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
 
পরে আসামির আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, স্ত্রী হত্যার অভিযোগ থেকে স্বামী আউয়াল খানকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মূলত ওই হত্যার ঘটনায় কোনও প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিল না। স্বামীর কোন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ছিলো না। এমনকি ঘটনার দিন স্বামী বাসাতেও ছিলেন না। তিনি ব্যবসার কাজে বাজারে ছিলেন। রাতে এসে দেখেন তার স্ত্রী খুন হয়েছে। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আদালত আউয়াল খানকে খালাস দিয়েছেন।  

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোর চারটার দিকে আউয়ালের স্ত্রী নার্গিস খুন হন। এ ঘটনায় নার্গিসের বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে একইদিন গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ নিহতের স্বামী আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়। কিন্তু রিমান্ডে কোনও স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য না পেয়ে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
 
এ মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ২০ আগস্ট গাজীপুর অতিরিক্ত দায়রা আদালত আউয়াল খানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন।
 
এরপর মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামির জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি হয় এবং ২০১৪ সালে ২০১৪ সালে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের সে রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানিয়েছিলেন আসামি আউয়াল খান।