২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ: সাধারণ বীমা কর্মকর্তা রিমান্ডে

প্রায় ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় সাধারণ বীমা করপোরেশন মতিঝিলের প্রধান কার্যালয়ের অডিট অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগে কর্মরত আবুল কাশেমের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার ( ১৯ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন। আদালতের দুদকের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক জুলফিকার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি আবুল কাশেমকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে আজ সোমবার (১৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের একটি টিম মতিঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

দুদক সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত আবুল কাশেম সাধারণ বিমা করপোরেশনের নিউমার্কেট শাখা-৯ এর ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এক্সিম ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখায় একটি হিসাব খুলেছিলেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই তিনি ‘সাধারণ বিমা করপোরেশন বিআর-৯ ঢাকা’ নামে খোলা ওই ব্যাংক হিসাবে বিমা করপোরেশনের বোর্ড সভার একটি জাল রেজুলেশন দাখিল করেন। ওই ব্যাংক হিসাব খোলার সময় রফিকুল ইসলাম নামে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে তিনি বিমা করপোরেশনের ডিজিএম হিসেবে হিসাব পরিচালনাকারী বলে উল্লেখ করেছেন। পরে তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রিমিয়াম অবৈধভাবে খোলা ব্যাংক হিসাবে জমা করেছেন এবং সাধারণ বিমা করপোরেশনের বিভিন্ন শাখার ভুয়া সিল ব্যবহার করে পলিসি ইস্যু করেছেন।

দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারি প্রিমিয়ামের টাকা তার নিজের খোলা ব্যাংক হিসেবে জমা দিয়ে আবুল কাশেম ২০১০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত নিজ নামে ও অন্যান্য ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নামে ২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ২০৩ টাকা তুলেন এবং অন্যান্য ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, আবুল কাশেমের এই জালিয়াতির ঘটনা জানতে পেরে দুদক প্রথমে একটি অনুসন্ধান কমিটি করে। অনুসন্ধান কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলার সুপারিশ করলে গত বছরের ৯ নভেম্বর আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলাতেই  আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়।