মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের বিষয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান

মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ধারা প্রয়োগে সমস্যার সৃষ্টি হলে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর সুপারিশ করতে হবে এবং প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থাসমূহকেও এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী।

বিশ্ব মানবপাচার প্রতিরোধ দিবস-২০২১ উপলক্ষে শুক্রবার (৩০ জুলাই) ‘ভুক্তভোগীর কণ্ঠস্বর পথ দেখায়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এক রিজিওনাল ওয়েবিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মানবপাচার প্রতিরোধে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ওয়েবিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের মত এবারও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রাজওয়ালা ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ড. সুনিতা কৃষনান তার বক্তব্যে সমাজে পরিবর্তনের রূপকার হিসেবে ভুক্তভোগীরা সংযুক্ত হয়ে মানব পাচার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করেন।
 
সংলাপ ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি তপতী ভৌমিক বলেন, পূনঃসংহতকরণকৃত ভুক্তভোগীদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণের জন্য পরিবার ও সমাজকে প্রস্তুত করার জোরালো পদক্ষেপ এখনই জরুরি।  

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ভুক্তভোগীদের উদ্ধার থেকে পুনর্বাসন পর্যন্ত ভুক্তভোগী কেন্দ্রিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং এ সংক্রান্ত নিয়মিত মনিটরিং ও ফলোআপ নিশ্চিত করতে হবে।

সমিতির সভাপতি সালমা আলীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন স্টপ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট রমা দেবব্রত, ইন্ডিয়ার সাবেক বিশেষ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট অমল ওঝা, মৈত্রী নেপালের প্রেসিডেন্ট অনুরাধা কৈরালা,  দুবাই পুলিশের লিগ্যাল কনসালটেন্ট (মাইগ্রেশন) মীর কামাল, এটিএসইসি বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান একেএম মাসুদ আলী, সাবেক জেলা জজ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সদস্য ও সাবেক জেলা জজ জেসমিন বেগম।
 
সভায় ভারত, নেপাল এবং বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিগণ তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভীষিকাময় দুঃসহ স্মৃতি, পরিবার এবং সমাজের পূনঃসংহতকরণ, আইনি সহায়তা, ক্ষতিপূরণ ও পরিষেবা প্রাপ্তির প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে ধরেন।