পিয়াসা ও মৌয়ের বিরুদ্ধে পৃথক থানায় মাদক মামলা 

বনানীর রেইনট্রিতে ধর্ষণকাণ্ড ও গুলশানের মুনিয়া আত্মহত্যাকাণ্ডে আলোচনায় আসা মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও তার সহযোগী মরিয়ম আক্তার মৌয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পিয়াসার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ও মৌয়ের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ডিবির স্পেশাল ক্রাইম ও সাইবার বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হয়েছে। আমরা তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করবো। রিমান্ড পেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

ডিবি পুলিশ জানায়, পিয়াসার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, রবিবার (১ আগস্ট) রাতে বারিধারা ও মোহাম্মদপুরের পৃথক দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে আলোচিত ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। 

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, রবিবার রাতে প্রথমে বারিধারার পিয়াসার বাসায় অভিযান চালানো হয়। তার বাসা থেকে মাদকদ্রব্যসহ পিয়াসাকে আটকের পর অভিযান চালানো হয় মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের একটি বাসায়। সেখান থেকে অন্তত এক ডজন বিদেশি মদ, পাঁচ প্যাকেট ইয়াবাসহ মৌকে আটক করা হয়।

সরেজমিন মৌয়ের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, গনমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে ওই বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছিল। মিরপুর রোড সংলগ্ন ২২/৯ বাবর রোডের ওই বাসার নিচতলায় থাকতেন মৌ। বাসার ভেতরে ড্রয়িং রুমের পাশেই একটি মিনি বার দেখা গেছে। বাসার ভেতরের বেডরুমের একটি ড্রয়ার থেকে পাঁচ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এছাড়া ওই বেডরুমের ভেতরে আরেকটি ড্রেসিং রুম থেকে অন্তত এক ডজন বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রেফতারকৃত মৌ ও পিয়াসা তাদের বাসায় মদের আসর বসাতো মূলত উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ব্ল্যাকমেইল করার জন্য। এই বিষয়ে তদন্তে সত্যতা পেলে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগেও পৃথক মামলা দায়ের করা হবে।