শুনানি চলাকালে যেমন ছিলেন পরীমণি

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ চারজনের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দুই জন হলেন, মো. আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. সবুজ আলী।

আজ বৃহস্পতিবার পরীমনিকে আদালতে উঠানোর সময় খুব স্বাভাবিক ছিলেন। আদালত প্রাঙ্গণে তাকে হাসিখুশিও দেখা যায়, কিন্তু বিচারক এজলাসে আসার পর থেকেই শুনানির শুরু থেকেই পরীমণি আদালতে নিশ্চুপ ছিলেন। তার চোখে মুখে হতাশার ভাব ছিল। মনে হচ্ছে অনেক চিন্তিত ছিলেন। কখনো কখনো মাথা নিচু করে ছিলেন। আবার কখনও কাঠ গড়ায় কাঠের সাথে মাথা রেখে নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।

এ সময় তার সঙ্গে তিন আসামি স্বাভাবিক ছিলেন একে অপরের সাথে কথা বলেছিলেন। তারা তাদের আইনজীবীদের সাথে কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরীমণি আদালতের এজলাসে যাওয়ার পর কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পর একদম নিশ্চুপ ছিলেন।

এরপর শুনানি শেষ হয় রাত ৯টা ৮মিনিটে। শুনানি শেষে তাকে আদালতের এজলাস থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতে ৪২ মিনিট পুরোটাই চুপ ছিলেন পরীমণি। এবং আদালত থেকে বের হওয়ার সময় অনেক ভীতু ও চুপচাপ অবস্থায় ছিলেন।

এদিন বনানী থানার মাদক মামলায় পরীমণিসহ চার জনকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পুলিশ। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় বনানীর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। রাত আটটার পরে তাকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় পরীর সঙ্গে আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে।

পরীমণির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার এক প্রেসব্রিফিংয়ে র‍্যাব জানায়, পরীমণির বাসায় একটা মিনি বার ছিল। তার বাসায় নিয়মিত পার্টি হতো। সেই পার্টিতে মদসহ সব ধরনের মাদক সাপ্লাই দিত নজরুল ইসলাম রাজ। রাজের নেতৃত্বে একটা সিন্ডিকেট ছিল, যাদের কাজই হলো উঠতি বয়সী তরুণীদের দিয়ে নানারকম অপকর্ম করানো। মঙ্গলবার মিশুক ও জিসানকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরীমণি ও রাজের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পরীমণি ও রাজসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।