বৃহস্পতিবার অসুস্থতার কারণে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামসুল আলম আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ধার্যের এ আদেশ দেন।
চার্জশিটের অন্য আসামিরা হলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী (জামিনে), ম্যানেজার এ কে এম মাহবুবুল হাসান (কারাগারে), তার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম (জামিনে), আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী ফারুক হোসেন (কারাগারে), পরিচ্ছন্নকর্মী নয়ন আলী (কারাগারে) ও অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান (পলাতক)।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায় ঘোষণার আগেই সালাউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান।
রায় ঘোষণার পরের দিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ওই ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন।
ওই বছরের ৪ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২১ নভেম্বর রাতে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রায় কার্যকর করা হয়।
/টিএইচ/এমএনএইচ/