সরকারি জমি আত্মসাৎ: মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুদক

খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের সরকারি জমি ও গুলশান-বনানী এলাকায় পূর্ত বিভাগের প্রায় ৫০-৬০ কাঠা জমি আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি কমিশনের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, সাবেক পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে খিলগাঁও মৌজায় রেলওয়ের ০.৩১২৫ একর জমি অবৈধভাবে নিজ নামে অবমুক্ত ও নামজারি, একই মৌজাভুক্ত বিভিন্ন দাগ খতিয়ানে আরও ১৫০ কাঠা জমি দুর্নীতির মাধ্যমে ক্রয় এবং খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকার পার্কের জায়গায় প্লট তৈরি করে নিজ নামে- বেনামে বরাদ্দ নিয়ে দুইশত কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে গুলশান-বনানী এলাকার ৫০-৬০ কাঠা জমি আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। এসব বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য দুদক সম্প্রতি একজন অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এক বা একাধিক মামলা দায়ের করা হতে পারে। অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কমিশন মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার মির্জা আব্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।