করোনার কিট কেনার দরপত্র বাতিল চেয়ে করা রিটের শুনানি মুলতবি

করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার কিট কেনার দরপত্র বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জেনারেল শেখ মো. মোরশেদ।

ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আজ শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, কিট কেনার বিষয়ে অনেক কোম্পানি দরপত্র দাখিল করেছিলো। সেখান থেকে দরপত্র বাছাই করা হয়েছে। তবে আমরা রিটকারী পক্ষ বলেছি, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য যদি সঠিক হয় তাহলে তারা বিভিন্ন কোম্পানির দরপত্র দাখিলের নথিপত্র আদালতের সামনে হাজির করুক। এসময় আদালত সেসব নথিপত্র হাজিরের জন্য মামলার শুনানি দুই সপ্তাহ মুলতবি করেন।

এর আগে, গত ৩১ আগস্ট করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার কিট কেনার দরপত্র বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। রিটে কিট কেনার ক্ষেত্রে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। গত ৩১ আগস্ট মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব রিটটি দায়ের করেন।

রিট আবেদনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক, চীনের সান সিউর বায়োটেক কোম্পানির বাংলাদেশি এজেন্ট ওভারসিজ মার্কেটিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিবাদী করা হয়।

রিটকারী আইনজীবী বলেন, তিনটি লটে ১৮০ কোটি টাকার ২০ লাখ কিট কেনার জন্য গত ২২ আগস্ট উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার কর্তৃপক্ষ। শুরু থেকেই এসব কিট সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে কিনে আসছে। ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর করোনা শনাক্তকরণের আরটি-পিসিআর কিট উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় কেনার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দরপত্রের শর্তের বেড়াজালে আটকে দেওয়া হয়েছে সুলভ মূল্যে গুণগত মানসম্পন্ন কিট ক্রয়ের সম্ভাবনা। একটি নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটকে বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে এটা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।