কোটি টাকা আত্মসাৎ: ৭ চিকিৎসকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

রাজধানীর আজিমপুরের মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতি করে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৭ জন চিকিৎসক, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও তিনজন ঠিকাদারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। শিগগিরই এই চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দুদকের একজন কর্মকর্তা।

চার্জশিটে অভিযুক্ত চিকিৎসকেরা হলেন- মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইসরাত জাহান, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. পারভীন হক চৌধুরী, প্রাক্তন জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহফুজা খাতুন, প্রাক্তন সহকারী কো-অর্ডিনেটর (ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ) ডা. চিম্ময় কান্দি দাস, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক মেডিক্যাল অফিসার ও বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম, মেডিক্যাল অফিসার (শিশু) ডা. বেগম মাহফুজা দিলারা আক্তার ও মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাজরীনা বেগম।

দুদক সূত্র  জানায়, ৭ চিকিৎসকের বাইরে অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন হয়েছে তারা হলেন মেসার্স মনার্ক এস্টাব্লিশমেন্টের স্বত্বাধিকারী ফাতেনূর ইসলাম, আজিমপুরের ৪৫/এ/৩-বি এর নাফিসা বিজনেস কর্নারের স্বত্বাধিকারী শেখ ইদ্রিস উদ্দিন চঞ্চল, কামরাঙ্গীরচরের সান্তনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নিজামুর রহমান চৌধুরী ও মাতৃসদনের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বর্তমানে নোয়াখালী সদরের সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম।

দুদক সূত্র জানায়, আসামিরা সবাই একে অপরের সহযোগিতায় ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে মেডিসিন এন্ড ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের এর মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ লঙ্ঘন করে বাজারদরের চাইতে বেশি দামে কেনাকাটা করে ১ কোটি ২৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৪১ টাকা আত্মসাৎ করে। অভিযোগপত্রে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।