ইভ্যালির দেনা হাজার কোটি টাকা

‘২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ইভ্যালির দায় ছিল ৪০৩ কোটি টাকা, যেখানে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা’- বিভিন্ন সংস্থায় প্রকাশিত এই বিপুল পরিমাণ দেনার বিষয়ে র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও সিইও মোহাম্মদ রাসেল কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। বরং জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ দেনার পরিমাণ আরও বেশি; ‘প্রায় হাজার কোটি টাকা’ বলে র‌্যাবকে জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

তিনি জানান, রাসেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন- বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বর্তমানে ইভ্যালির প্রায় ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি গেটওয়েতে ৩০-৩৫ কোটি টাকা আটকে আছে, যেগুলো গ্রাহকের টাকা।

প্রতিষ্ঠানটির দেনার বিষয়ে রাসেল কোনও সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি উল্লেখ করে এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানিটির আরও বহু দেনার কথা জানা গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আমাদের প্রায় হাজার কোটি টাকা দেনার কথা জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃত রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা

ইভ্যালি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একটি লোকসানি কোম্পানি উল্লেখ করে খন্দকার আল মঈন বলেন, এই প্রতিষ্ঠান থেকে এখন পর্যন্ত কোনও ব্যবসায়িক লাভ রাসেল করতে পারেননি। গ্রাহকের অর্থ দিয়েই তিনি তার যাবতীয় ব্যয়, বেতন, নিজস্ব খরচ নির্বাহ করতেন। ক্রমে ক্রমে তার দেনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন পদাধিকারবলে ইভ্যালি থেকে মাসে ৫ লাখ টাকা করে বেতন নিতেন বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা। এছাড়া তারা কোম্পানির টাকায় অডি ও রেঞ্জ রোভার দুটি দামি গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করেন।