দায় মেটাতে না পারলে দেউলিয়া ঘোষণার প্রস্তুতি ছিল ইভ্যালির

ইভ্যালি তার দায় মেটাতে না পারলে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা ছিল প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেলের। জিজ্ঞাসাবাদে নিজেই এমন তথ্য জানিয়েছেন, বলছে র‌্যাব। 

শুক্রবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে উত্তরা র‌্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

রাসেল পরিকল্পিতভাবে এই ব্যবসা করে আসছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইভ্যালি ছিল একটি পরিবার নিয়ন্ত্রিত ব্যবসা। প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রে স্বচ্ছতা ছিল না। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কোনও জবাবদিহিতাও ছিল না। ফলে ক্রমান্বয়ে প্রতিষ্ঠানটি দায়ভার বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর সেই কারণেই বর্তমানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। ইভ্যালির নেতিবাচক ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজি উম্মোচিত হলে অনেক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে সরে এসেছে। ব্যবসায়িক উত্তোরণ নিয়ে রাসেল তিনি নিজেও সন্দিহান ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য দিতে পারেননি।

গ্রেফতারকৃত রাসেল ও নাসরিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

গ্রাহকের টাকা কীভাবে ফেরত পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এ বিষয়গুলো তদন্ত করছে। গ্রাহকের বিভিন্ন পরিমাণ টাকা এখানে লগ্নি করা আছে। বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা হবে গ্রাহকদের টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে।

তিনি আরও বলেন, গ্রাহকদের টাকা কীভাবে দেবেন- জিজ্ঞাসাবাদে এমন প্রশ্নে রাসেল আমাদের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এ বিষয়ে যেসব সংস্থা কাজ করছে, সকলে মিলে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাজ করলে হয়তো অর্থ পাওয়া সম্ভব হবে।