‘‌ইভ্যালি, ইট ওয়াজ অ্যা ওয়ান ম্যান শো’

ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিও) মোহাম্মদ রাসেল নানা অপকৌশলে নিজেকে এবং ইভ্যালিকে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত করছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ‘‌‌ইভ্যালি কোম্পানি ইট সেলফ ইট ওয়াজ অ্যা ওয়ান ম্যান শো। ইট ওয়াজ মিস্টার রাসেল।’

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা র‌্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‌‘ফেব্রুয়ারির পর থেকে তেমন কোনও বড় পণ্য কোনও গ্রাহককে ফেরত দিতে পারেনি ইভ্যালি। বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন কিংবা স্পন্সর করা রাসেলের একটি মার্কেটিং পলিসি। তিনি চেয়েছিলেন ইভ্যালিকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবাই একনামে চিনুক। একটি মার্কেট ভ্যালু তৈরি করতে চেয়েছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রচার প্রচারণা এবং স্পন্সর করাতে মানুষ তাকে চিনেছে। গ্রাহকের কষ্টার্জিত টাকায় তিনি প্রচার প্রচারণা ও স্পন্সর করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘‌তার প্রথম উদ্দেশ্য ছিল একটি ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করা। মানুষের নজর কাড়তে তিনি বিভিন্ন পন্থা নিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেছেন। দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিন্তু যখন প্রতিষ্ঠানটির ভেতরের বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন তখন তারা এটা থেকে সরে এসেছেন।’

বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার কোনও তথ্য তার কাছে থেকে পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি কনফিডেন্ট ছিলেন আস্তে আস্তে  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করতে পারবেন। উনার নিজের বর্তমান যে দায় রয়েছে— গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া, এ বিষয়ে তিনি সন্দিহান ছিলেন।’