নকল ওষুধসহ গ্রেফতার ৩

উৎপাদন নিষিদ্ধ ও দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ ও ক্রিম উদ্ধারসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। গ্রেফতারকৃতরা হলো— ফয়সাল আহমেদ, সুমন চন্দ্র মল্লিক ও লিটন গাজী।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার কোতোয়ালি থানার মিটফোর্ড এলাকার বিভিন্ন ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার ও নকল ওষুধ জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে একশ’ পিস আই পিল, ১৬০ পিস সুপার গোল্ড কস্তুরি, ৩ হাজার পিস ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস, ৩৫০ পিস বেটনোভেট-সি, এক হাজার পিস প্রটোবিট, ১১৫ বক্স ইনো, ৪০০ পিস সাঙ্গারা, ১৫০০ পিস পেরিয়াক্টিন, ১১০টি মুভ ক্রিম, ৫০০ কৌটা হোয়াইটফিল্ড, ৩০টি রিংগার্ড, ২৫০টি নিক্স রাবিং বাম, ৩০০টি ভিক্স কোল্ড প্লাস, ২০ কৌটা ভ্যাপোরাব ও ৪২০ কৌটা গ্যাকোজিমা উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মাহবুব আলম। তিনি বলেন, ‘কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী রাজধানীর মিটফোর্ডের পাইকারি ওষুধ মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে নিষিদ্ধ ও জীবন রক্ষাকারী দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ ও ক্রিম বিক্রয় করে আসছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে  ভিত্তিতে ওষুধ অধিদফতরের সহায়তায় মিটফোর্ডের সুরেশ্বরী মেডিসিন প্লাজার নিচ তলার মেডিসিন ওয়ার্ল্ড ও অলোকনাথ ড্রাগ হাউস এবং হাজি রানি মেডিসিন মার্কেটের নিচতলায় রাফসান ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়।’

ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর মিটফোর্ড মার্কেটটি ওষুধের পাইকারি বাজার হওয়ায় নকল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকারী চক্র সমগ্র দেশে নকল ওষুধ ছড়িয়ে দিতে এই মার্কেটকে ক্যামোফাজ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা অধিক লাভের আশায় এসব দেশি ও বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের ওষুধ ও ক্রিম তাদের সহযোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে মিটফোর্ড এলাকায় বাজারজাত করে আসছিল।

অভিযান পরিচালনকারী গোয়েন্দা লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। এই চক্রে আরও লোকজন রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।