আগাম জামিন পেলেন কেয়া কসমেটিকসের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী

সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগের মামলায় কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান ও তার স্ত্রীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও তাদের সন্তানদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

তাদের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, এ কে এম ফজলুল হক, ওমর ফারুক ও আসিফ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফি উল্লাহ বাদী হয়ে পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

জানা গেছে, আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তাদের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাঁচ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

কেয়া কসমেটিকসের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের আগাম জামিনের আবেদন