হাইকোর্টে ফেনীর সেই ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য নির্ধারিত রয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করবেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম।
 
এর আগে ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেন, সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে এই টাকা ভুক্তভোগী নুসরাত জাহানের পরিবারকে দিতে হবে।

পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন এবং জামিন প্রার্থনা করেন।

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়। সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০১৮ সালের ২৭ মে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। আদালত তা আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর মোয়াজ্জেমকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

নুসরাত জাহানকে ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। ১০ এপ্রিল সে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এর ১০ দিন আগে নুসরাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ আনা হয় মামলায়।