অর্থপাচার মামলা: ফরিদপুরের আশিকের ঠিকাদারি লাইসেন্স দাখিলের নির্দেশ

ফরিদপুরে দুই হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার মামলার আসামি আশিকুর রহমানের ঠিকাদারি লাইসেন্স আছে কিনা, তা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

এক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদপুরের আলোচিত আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার মামলায় আরেক আসামি ঠিকাদার আশিকুর রহমান। এ মামলায় চার্জশীটভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে তিনি চার নম্বর আসামি। অর্থ পাচারের বিষয়ে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রয়েছে। ওই মামলায় হাইকোর্টে তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আশিকুর রহমানের ঠিকাদারি লাইসেন্স আছে কিনা থাকলে তা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  

মামলার বিবরণে জানা যায়, দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা করে সিআইডি। সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত বছরের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডালিংয়ের অভিযোগ এনে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, মন্ত্রীর এপিএস এএইচএম ফুয়াদ, খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মদ আলী দিদার ও মো. তারিকুল ইসলাম নাসিম।