ফকিরাপুলে ভিওআইপি সরঞ্জামসহ গ্রেফতার ৪

অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফকিরাপুল এলাকা থেকে চার জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ফকিরাপুল গরম পানির গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. আলমগীর হোসেন (৪৫), মো. সাগর মিয়া (২৭), মোহাম্মদ শামীম মিয়া (২৯) ও মোহাম্মদ আমির হামজা (৩৩)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভিআইপি ব্যবসায় পরিচালনায় ব্যবহৃত দুটি সিপিইউ, একটি মাউস, একটি কিবোর্ড, দুটি প্রিন্টার, দুইটি স্ক্যানার, একটি পেপার কাটার মেশিন, একটি ডিজিটাল ওজন মেশিন এবং চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে কাওরান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব ১০ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘শামসুজ্জামান নামে একজনকে শেরেবাংলা থেকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। মূলত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতেই অভিযান পরিচালিত হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন হতে লাইসেন্স ছাড়াই এ ধরনের অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।’

মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, ‘তারা অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা প্রদানের পাশাপাশি হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করতো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তারা দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর অবৈধ ভিওআইপি ও আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জের ব্যবসা করে আসছিল।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে ৭-৮টি সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য অনেক ধাপে অনেক গ্রুপে কাজ করতে হয়। দেশীয় কেউ এর পেছনে জড়িত কিনা এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া এর পেছনে কারা জড়িত এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

বিটিআরসির উপ-পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা ঠেকাতে আমরা প্রতি ১২ ঘণ্টা পরপর মনিটরিং করি। যেসব সিমে সন্দেহভাজন কোনও কিছু পাই সেগুলো ব্লক করে দেই। চক্রগুলো পরবর্তীতে অন্যভাবে সিম একটিভ করে আবার এ ধরনের কাজ করে। আমরা প্রতিনিয়ত এসব বিষয়ে নজর রাখছি।’