ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপসহ ৩টি বিষয় জানতে চায় হাইকোর্ট

দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের পদক্ষেপসহ তিনটি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরের পলিসি কি এবং ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

ভুক্তভোগীদের পৃথক তিনটি রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে এসব বিষয়ে জানাতে হবে উল্লেখ করে একইদিন মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মোহাম্মদ শিশির মনির ও হুমায়ন কবির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্সের গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।

পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির একটি রিট দায়ের করেন।

পরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে ৩৩ জন গ্রাহক ডিজিটাল বা ই–প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তৈরির জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী ও অন্য অংশীজনদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেন। তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এসব রিটে কোন ব্যক্তি বা সরকারি কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা ব্যর্থতায় ইভ্যালি, আলিশা মার্ট, ই–অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত অনলাইন বাজার থেকে পণ্যের জন্য লাখ লাখ গ্রাহকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারকের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।