তাসনিম খলিল ও সামিসহ ৪ জনের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় হাঙ্গেরিপ্রবাসী জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামি ও সুইডেনপ্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিলসহ চার জনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অপর দু’জন হলেন - আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেনের ট্রাইবুনালে এই সম্পত্তি জব্দের আবেদনটি করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে সম্পত্তিগুলো জব্দ করার আদেশ দেন।

আদালত আদেশে ঢাকার সেনানিবাস, সিলেটের বিশ্বনাথ, চাঁদপুর ও নোয়াখালীর চাটখিল; এই চার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

এর আগে গত ১৩ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপ-পরিদর্শক আফছার আহমেদ এই চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১২ সেপ্টেম্বর বিচারক আস শামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেন ‑ কার্টুনিস্ট কিশোর, জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামি, তাসনিম খলিল, মিনহাজ মান্নান ইমন, রাষ্ট্রচিন্তা নামে সংগঠনের ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়া, আশিক ইমরান এবং স্বপন ওয়াহেদ।

তাদের মধ্যে কিশোর, মিনহাজ এবং দিদারুলকে আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা এখন জামিনে আছে এবং অন্যরা পলাতক রয়েছে। যারা পলাতক রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।২৫ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে লেখক মোশতাক আহমেদের মৃত্যু হওয়ায় তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ৫ মে র্যাব-৩ এর কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।