যুবকের জিহ্বা কর্তন: তরুণীসহ তিন জনের জামিন

‘পাওনা টাকা চাওয়ায়’ ব্লেড দিয়ে সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবকের জিহ্বা কর্তনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত তরুণীসহ তিন জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
 
জামিনপ্রাপ্ত আসামি হলেন- শারমিন (২২), তার মা আনোয়ারা বেগম  (৩৮) ও ভাই ফারুক হোসেন (২০)। তবে ওই তরুণীর বাবা শফিকুল ইসলামের (৪০) রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন জিআর শাখা থেকে জানা গেছে যে, আজ রবিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার এসআই তন্ময় সাহা চার আসামিকে আদালতে হাজির করে শফিকুল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন এবং অপর তিন আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রেজাউল ইসলাম পলাশ রিমান্ড বাতিল চেয়ে সবার জামিনের জন্য আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত শফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং অপর তিন আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২২ অক্টোবর বিকালে ফরিঙ্গা বাজারে পাওনা টাকা নিয়ে ভুক্তভোগী সাইফুলের সঙ্গে শফিকুলের তর্কবির্তক হয়। এর জের ধরে ওই দিন রাতে টাকা দেওয়ার জন্য সাইফুলকে বাড়িতে ফোন করে ডেকে নিয়ে শফিকুল। পরে টাকা না দিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা মিলে মেঝেতে ফেলে তার জিহ্বা কেটে নেয়। ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারকে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে।

তবে স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, ঢাকার ধামরাইয়ের ফড়িঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে শারমিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাইফুল ইসলামের। ‘প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়েতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকায়’ শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে সাইফুলকে বাড়িতে ডেকে নেয় শারমিন। পরে ব্লেড দিয়ে তার জিহ্বা কেটে ফেলা হয়।

এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের বাবা রহমত আলী মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়ের হওয়ার পর বাবা, মা ও ভাইসহ শারমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।