ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু, খবর শুনেই অজ্ঞান হয়ে গেলেন তরুণী

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার গাউছিয়া এলাকায় ছুরিকাঘাতে নবকুমার সাহা (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই খবর শুনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এক তরুণী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তিনি নবকুমারের বন্ধু বলে জানান।

এর আগে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি গাউছিয়া থেকে গোলাকান্দাইলের আল রাজী হাসপাতালে ওই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে এসে রেখে চলে যান। পরে অপর দুই ব্যক্তি সেখান থেকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

আল রাজী হাসপাতাল থেকে নবকুমারকে যে দুই জন ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন, তাদের একজনের নাম তায়েফ। তিনি জানান, তারা আল রাজী হাসপাতালে ছিলেন। তখন আহত অবস্থায় নবকুমার তাদের একজনের হাত ধরে বলতে থাকেন, ‘আমাকে বাঁচান’। পরে তায়েফসহ দুই জন ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সোয়া ১০টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আল রাজী হাসপাতালে রোগীর কোনও চিকিৎসা না দিয়ে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, রোগী আসার আগেই তাহমিনা নামে এক তরুণী রাজধানীর মহাখালী থেকে ঢামেক হাসপাতালে ছুটে আসেন। মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট তাহমিনা নবকুমারকে শনাক্ত করেন।

তাহমিনা বলেন, নবকুমার সাহার বাড়ি নরসিংদীর হাজীপুরে। বাবার নাম নারায়ণ। দুই ভাইয়ের মধ্যে নবকুমার বড়। তিনি গাউছিয়া এলাকায় একটি শোরুমে চাকরি করতেন। নবকুমার তার বন্ধু। নিহতের এক বন্ধুর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন। মৃত্যুর খবরে তিনিও অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

রূপগঞ্জ থানার ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল বারেক জানান, ‘আমি সহযোগিতা করে ওই যুবককে গোলাকান্দাইল আল রাজী হাসপাতাল থেকে ঢামেকে পাঠিয়েছি। সোনারগাঁ থানার তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির অধীনে ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি।’

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানাকে জানানো হয়েছে। নিহতের স্বজনদের সংবাদ দেওয়া হয়েছে। পেটে ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে। নবকুমারের হাতে গ্লাভস লাগানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তার সঙ্গে মোটরসাইকেল ছিল। তিনি বলেন, কীভাবে কী ঘটেছিল তা সংশ্লিষ্ট থানা বলতে পারবে।