অর্থ পাচারকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই: আপিল বিভাগ

‘অর্থ পাচারকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারের জামিন বিষয়ে শুনানিকালে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এমন মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে ‘এ ধরনের অপরাধ বেড়েই চলেছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত। 

পরে ক্যাসিনোকাণ্ডের ঘটনায় করা চার মামলায় গ্রেফতার ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের তৎকালীন সেক্রেটারি জয় গোপাল সরকারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিলের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মামলাগুলো এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলের অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। অন্যদিকে জয় গোপালের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

এর আগে ক্যাসিনোকাণ্ডের ঘটনায় করা চার মামলায় গ্রেফতার ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের তৎকালীন সেক্রেটারি জয় গোপাল সরকারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। আসামির জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৯ আগস্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। পরে সে রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন জানায়।

জানা গেছে, জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হন।
 
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রুপনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এরপর গেন্ডারিয়া থানায় মানিলন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জয় গোপালের নাম উঠে এলে সিআইডি তাকে ২০২০ সালের ১৩ জুলাই সোমবার লালবাগ থেকে গ্রেফতার করে। পরদিন  ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে হাজির করা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।