‘ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নেওয়ার সুপারিশ’, বিভিন্ন সংস্থার উদ্বেগ

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে ‘৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণের মামলা না নেওয়ার জন্য আদালতের পরামর্শে’ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতে এই উদ্বেগের কথা জানায় সংস্থা দুটি। 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বিবৃতিতে জানায়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হলে মামলা না নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মামলা দায়ের করার জন্য বিধিনিষেধ বিচারপ্রাপ্তির সুযোগকে সংকুচিত করবে, যা মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। তাছাড়া মেডিক্যাল রিপোর্টই ধর্ষণ মামলার একমাত্র অ্যাভিডেন্স না। আরও অনেকগুলো পারিপার্শ্বিক অ্যাভিডেন্স থাকে, সেগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার বিচার এগিয়ে চলে। বিচারিক আদালত যদি এ ধরনের বিধিনিষেধ তৈরির মন্তব্য প্রদান করে, ভবিষ্যতে ধর্ষণের ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

অপরদিকে আইন ও সালিশ কেন্দ্র উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে, বিদ্যমান আইনি ব্যবস্থায় কোনও অপরাধের ক্ষেত্রে মামলা গ্রহণের নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। অপরাধ সংঘটনের অনেক বছর পরও মামলা ও বিচারকাজ সম্পাদিত হওয়ার নজির রয়েছে। যেখানে নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা প্রতিরোধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার ওপর বারবার জোর দেওয়া হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে উচ্চ আদালত বেশ কয়েকটি যুগান্তকারী নির্দেশনা প্রদান করেছেন, সেখানে এ মামলার ক্ষেত্রে আদালতের এমন পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা আমাদের হতাশ করেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, আদালতের এমন পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা প্রকৃতপক্ষে বিদ্যমান আইন ও বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে সাংঘর্ষিক।