তাজুলকে ‘পিটিয়ে হত্যা’: ভিসেরা রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ

তাজুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে রংপুরের হারাগাছ থানা পুলিশ ‘পিটিয়ে হত্যা’ করেছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মৃতের ভিসেরা রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় গ্রামবাসীকে গ্রেফতার ও হয়রানি না করার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে মামলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

এর আগে শুনানিকালে পুলিশ সুপারের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাজুলের কাছে ৫ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিল। তার মৃত্যুর ঘটনায় মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রংপুরের নয়াবাজার বছিবানিয়ার তেপতি থেকে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ। এ সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাকে মারধর করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তাজুল ইসলাম। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করে। বিক্ষুব্ধ জনতা ইটপাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গত ২ নভেম্বর তাজুল ইসলামকে ‘পিটিয়ে হত্যা’র ঘটনাটি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত পদক্ষেপ জানাতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।