বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে গলা কেটে হত্যা করা হয় জোনাকিকে

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহের জেরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুজন মিয়া তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো। এর জেরেই বাসার ছাদে নিয়ে হত্যা করা হয় জোনাকি আক্তারকে। শনিবার (২৭ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কেন্দুয়া কাঞ্চন এলাকা থেকে সুজন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এসব তথ্য জানতে পারে র‌্যাব।

রবিবার (২৮ নভেম্বর) র‌্যাব জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে সুজন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় জোনাকি আক্তার জুনির। নিহত জোনাকি সুজন মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। গাজীপুরের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় একবছর ধরে ভিকটিম জোনাকি আক্তার তার বাবা মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতো। মাঝে মাঝে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় আসতো সুজন। গত একমাস ধরে স্ত্রী জোনাকিকে সন্দেহ করে সুজন। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। 

র‌্যাব আরও জানায়, ২৬ নভেম্বর বিকালে সুজন জোনাকির বাসায় যায়। তখন বাসায় জোনাকি ছিলেন না। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলে সুজন জোনাকিকে নিয়ে ছাদে যায়।  বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুজন তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে জোনাকির গলায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। জোনাকি আক্তারকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বোন রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানা একটি মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মূলত পরকীয়া সন্দেহের জেরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে জোনাকি আক্তারের গলায় আঘাত করে সুজন। ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।