ব-দ্বীপ প্রকাশনীর মালিক ৫ দিনের রিমান্ডে

বন্ধ করে দেওয়ার পর ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টলধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ব-দ্বীপ প্রকাশনীর মালিক শামসুজ্জোহা মানিকের  ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ব-দ্বীপ প্রকাশনীর কর্মকর্তা ফকির তসলিম উদ্দিন কাজলকে ২ দিন এবংও লেখক শামসুল আলম চঞ্চলকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আমিরুল হায়দার চৌধুরী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অবমাননা ও মহানবী (সা.)-এর  সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওসি আরও জানান, শাহবাগ থানার এসআই মাসুদ রানা বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় ব-দ্বীপ প্রকাশনীর মালিক শামসুজ্জোহা মানিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে সোমবার রাতেই মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মানিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেন তারা। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত অন্যরা হচ্ছেন, ব-দ্বীপ প্রকাশনীর কর্মকর্তা ফকির তসলিম উদ্দিন কাজল ও লেখক শামসুল আলম চঞ্চল। ব-দ্বীপ প্রকাশনীর ১৯১ নম্বরের স্টলটিও বন্ধ করে দেওয়া হয় সোমবার।

ওসি আরও জানান, বিতর্কিত ‘ইসলাম বিতর্ক’ বইটিতে ইসলাম মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো লেখা রয়েছে। বাংলা একাডেমিকে বিষয়টি জানালে স্টলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই স্টল থেকে ৭০ থেকে ৮০টি বই জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে,  বিকেলে শাহবাগ থানায় সংবাদ সম্মেলন করে ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টল বন্ধ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার  বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয় পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আবদুল বাতেন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

ডিসি বলেন, যে বইটির কারণে ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করতে বাংলা একাডেমিকে অনুরোধ জানানো হয়, সেই বইটিতে সাংঘাতিক ও অশালীন কথা লেখা হয়েছে। এ ধরনের কথা শুধু ইসলাম নয়, যেকোনও ধর্ম সম্পর্কেই বলা উচিত নয়। বইটি ওয়েব সাইটে ছেড়ে দেওয়ায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

/এসআর/টিএইচ/জেইউ/এমএনএইচ/