গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার কাছ থেকে সোহাগী জাহান তনুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে তনুর বাবা ইয়ার হোসেনই প্রথম মেয়ের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়তে পারেন:
মেয়ে হত্যাকাণ্ডের একমাসে খুনিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে বিষয়ে কোনও তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। তনু হত্যাকাণ্ডে জড়িত কোনও খুনি গ্রেফতার হয়েছেন বলেও তাদের জানা নেই। সিআইডির কর্মকর্তারা তাদের কাছে যেসব তথ্য জানতে চেয়েছেন, তারা সেসব তথ্য সিআইডিকে দিয়েছেন। সন্দেহভাজনদের বিষয়েও তিনি তথ্য দিয়েছেন সিআইডির কর্মকর্তাদের। খুনি যারাই হোন, তাদের ধরার জন্য বলেছেন। তারা সেগুলো খতিয়ে দেখবেন জানিয়ে বলেছেন, ধৈর্য ধরুন। আগামী একমাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে পারবেন। আর বলেছেন, আক্রোশের কারণে হত্যা করা হয়েছে তনুকে।
বাংলা ট্রিবিউনকে ইয়ার হোসেন বলেন, আমার কোনও ক্ষমতা নেই। জোর নেই। এখন ধৈর্য ধরা ছাড়া আর কী করার আছে? গরিবের বিচার যদি আল্লাহ করেন, সেই অপেক্ষায় আছি। আল্লাহ দেখেছেন কে মেরেছে তনুকে। এছাড়া, লাশতো পাওয়া গেছে।
আরও পড়তে পারেন:
তনু হত্যা মামলার তদন্ত সহায়ক কমিটির প্রধান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাননি। তবে অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখছেন তারা। দ্রুত একটি সমাধানে আসা যাবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের বলেন।
এদিকে, বুধবার তনুর চাচা-চাচীসহ আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিআইডি’র কর্মকর্তারা। এর আগে মঙ্গলবার তনুর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তারা। তদন্তে সহায়তার জন্যই বারবার তাদের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানান সিআইডির কর্মকর্তারা। তবে এখন পর্যন্ত তনু হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
/এমএনএইচ/