সোমবার রাতে দ্য ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) পানামা পেপারসের দ্বিতীয় কিস্তি অনলাইনে প্রকাশ করে। এ দফায় প্রায় দুই লাখ গোপন অফশোর কোম্পানি সংশ্লিষ্ট নথি প্রকাশ করা হয়। পানামাভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার এসব নথিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধনী ও সরকারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গোপনে বিদেশে অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের তথ্য রয়েছে।
দ্বিতীয় কিস্তিতে পাকিস্তানের আরও ২৫৯ জন ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। এর আগে প্রথম দফায় ২২০ জন পাকিস্তানির নাম ছিল। অন্তত তিনটি প্রতিষ্ঠান বা ট্রাস্ট পাকিস্তানি নাগরিকদের দ্বারা গড়ে ওঠেছে। এছাড়া রয়েছে ৫ মধ্যস্ততাকারী ব্যক্তির নাম যারা পাকিস্তানের বিভিন্ন ব্যক্তিকে অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগে সহযোগিতা করেছেন।
পানামা পেপারসের এসব অফশোর কোম্পানির বেশ কয়েকটি ১৯৮০ সালের দিকে দেউলিয়া হয়ে গেছে অথবা দীর্ঘদিন আগে বিলুপ্ত হয়েছে। তবে এখনও বেশ কয়েকটি চালু অবস্থায় আছে। আন্তর্জাতিক ট্যাক্স হ্যাভেন হিসেবে পরিচিত হংকং, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, পানামা, বাহামাস ও সিসিলিসে এসব পাকিস্তানির বিনিয়োগ রয়েছে।
এবারের তালিকায় নাম আছে ফয়সাল মাকবুল শেখের। ব্রিটিশি ভার্জিন আইল্যান্ডের ফার্ন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডে তার বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া নওয়াজের স্ত্রী ও নওয়াজ পরিবারের আত্মীয় সদরুদ্দিন হাশওয়ানি, হোসাইন দাউদ, মির শাকিলুর রেহমান, আলি সিদ্দিকীসহ আরও অনেকের নাম হয়েছে।
পাকিস্তানিদের নামে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে ১৫৩ ও পানামাতে ৪১টি কোম্পানি রয়েছে। পাকিস্তানিদের মধ্যে প্রথম মিঞা জিয়া উদ্দিন ১৯৮৮ সালে অফশোর কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে করেছেন মাজিদ সিদ্দিকী।
তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য পাকিস্তানিদের মধ্যে আরও রয়েছেন, পাকিস্তান পিপলস পার্টির সিনেটর ওসমান সাইফুল্লাহ খান ও তার আত্মীয় জেহাঙ্গির সাইফুল্লাহ খান, মির শাকিলুর রহমান, পির আলি গোহার, তাবানি পরিবারের ইউনুস জাকারিয়া তাবানি ও রুকসানা চৌধুরী তাবানি, সাবেক এক প্রধানমন্ত্রীর ছেলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাইন ইফতেখার সুখেরা, জুলফিকার বুখারি ও তার বোন, মুনিস এলাহি, আলিম খান, বেনজির ভুট্টো ও রেহমান মালিক।
/এএ/