প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন জাতীয় সম্পত্তি ও স্থাপনার নামকরণে গান্ধী পরিবারের আধিপত্য রয়েছে উল্লেখ করে সম্প্রতি সমালোচনা করেন বলিউড তারকা ঋষি কাপুর। অবশ্য এর আগে থেকেই জাতীয় আইকনের তালিকায় ভিন্ন ভাবধারার মানুষদের নিয়ে আসার ব্যাপারে তৎপরতা চালাচ্ছে বিজেপি।
দেশটির জাতীয় আইকন ঘোষণার ক্ষেত্রে নেহরু-গান্ধীপন্থীদের আধিপত্য রয়েছে বলে মনে করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। আর তাই এ ধারা পাল্টাতে এবং নতুন ব্যক্তিত্বদের সামনে নিয়ে আসতে ও তাদের স্মরণে নানা অনুষ্ঠান পালনের পরিকল্পনা করে বিজেপি সরকার। এরই অংশ হিসেবে প্রতিবছর কয়েকজন করে বিশেষ ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া হয়। রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ইতিহাসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন কিন্তু আগে স্বীকৃতি পাননি এমন ব্যক্তিদেরই এক্ষত্রে বাছাই করা হয়ে থাকে। জাতীয় আইকনদের তালিকাকে যেন সাম্প্রদায়িক বলে না মনে হয় তার জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকেও আইকন বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এ বছর পাটনায়েক ও বিসমিল্লাহ খানের জন্মশত বার্ষিকী। পাশাপাশি হিন্দি ভাষার সাহিত্যিক অমৃতলাল নাগার এবং কর্ণাটকের ভোকালিস্ট এম এস সুব্বুলক্ষ্মীরও জন্মশত বার্ষিকীও এ বছর। এছাড়া চলতি বছর রামকৃষ্ণ বেদান্ত ম্যাথের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী আবেদ আনন্দের ১৫০তম জন্মবার্ষিকীও উদযাপন করা হবে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এর নেতৃত্বাধীন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির মধ্যে অন্যান্য কর্মকর্তার পাশাপাশি মন্ত্রী অরুণ জেটলি ও মহেশ শর্মাও রয়েছেন। ৫ প্রখ্যাত ব্যক্তির প্রতি সম্মান জানাতে সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। এসব আইকনের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির পাশাপাশি স্মারক ডাকটিকিট ও স্মারক মুদ্রা বের করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া তাদের নিয়ে বই প্রকাশেরও কথা রয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালে ৭ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মানিত ও জাতীয় আইকন হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছিল ভারত সরকার।
/এফইউ/