দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

রাজ্যসভা নির্বাচনে হারিয়ানা ও ঝাড়খণ্ডে ধাক্কা খেলো কংগ্রেস

nonameশনিবার অনুষ্ঠিত ভারতের রাজ্যসভা নির্বাচনে হারিয়ানা ও ঝাড়খণ্ডে বিজেপির কাছে হেরে বড় ধাক্কা খেয়েছে ভারতের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। উভয় রাজ্যে বিজেপির প্রার্থীর কাছে হেরেছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। রবিবার ভারতের অন্যতম দৈনিক পত্রিকা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস খবরটি প্রধান শিরোনাম হিসেবে প্রকাশ করেছে।

রাজ্যসভায় মোট সদস্য সংখ্যা ২৪৫। এর মধ্যে ২৩৫ জন নির্বাচিত এবং ১০ জন মনোনীত সদস্য। এবার ছিল রাজ্যসভার সাতান্নটি আসনে ভোট। এর মধ্যে তিরিশ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। বাকি সাতাশটি আসনের জন্য শনিবার সাত রাজ্যে ভোট হয়। 

ঝাড়খণ্ড থেকে জিতেছেন বিজেপির মুক্তার আব্বাস নকভি ও দলের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মহেশ পোদ্দার। হরিয়ানা থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী চৌধুরী বীরেন্দ্র সিংহ এবং বিজেপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র।

উত্তর প্রদেশে সাতটি আসনে জিতেছেন অমর সিংহ, বেণীপ্রসাদ বর্মা, রেবতীরমণ সিংহ-সহ সমাজবাদী পার্টির সাত প্রার্থী। বহুজন সমাজ পার্টি ২টি আসনে জিতেছে।

মধ্যপ্রদেশ থেকে তিনটির মধ্যে দু’টি আসনে বিজেপি প্রার্থী এম জে আকবর এবং অনিল দাভে জয়ী হলেও, আরেকটি আসনের জন্য রাজ্যসভায় যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন কংগ্রেসের বিবেক তনখা। রাজস্থান থেকে বেঙ্কাইয়া নায়ডু, হর্ষবর্ধন, ওম মাথুর এবং রাম কুমার- রাজস্থানে বিজেপির এই চার প্রার্থীই জিতেছেন।

উত্তরাখণ্ডের একমাত্র আসনে জিতেছেন কংগ্রেসের প্রদীপ টামটা। কর্নাটক থেকে চারটির মধ্যে তিনটি আসনেই জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। একটিতে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

শনিবার রাজ্যসভার ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ৪৯ থেকে বেড়ে ৫৬ তে দাঁড়িয়েছে। আর দলটির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-র সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫ এ। রাজ্যসভায় এবার কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা হচ্ছে ৫৮। আর দলটির নেতৃত্বাধীন জোট ইউপিএ-র সদস্য সংখ্যা ৮৩। এছাড়া সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, তৃণমূল, এআইএডিএমকে-সহ অন্যান্য আঞ্চলিক দলের মোট সদস্য সংখ্যা ৭৭।

এবারের নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও রাজ্যসভায়  এখনও কংগ্রেসের পিছিয়ে আছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটি। বিজেপির শক্তি বাড়লেও, রাজ্যসভায় বিল পাস করাতে হলে এখনও অন্য দলের দিকে বিজেপিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, লোকসভায় বিজেপির বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও রাজ্যসভায় কংগ্রেসই সব থেকে বড় দল হওয়ার সুবাদে এত দিন মোদি সরকারকে বিপাকে ফেলেছে। জমি অধিগ্রহণ বিলে সংশোধন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সংস্কারের বিলে সরকার রাজ্যসভাতেই বারবার হোঁচট খেয়েছে।

/এএ/