ডন

কূটনৈতিক তৎপরতায় খুলল তোরখাম সীমান্ত

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর, শনিবার (১৮ জুন) তোরখাম সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়। কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই সীমান্ত খোলার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। এই খবরটিকেই রবিবারের প্রধান শিরোনাম করেছে প্রভাবশালী পাকিস্তানি পত্রিকা ডন।

Dawn-19062016

শনিবার সকালে সীমান্তপথটি খুলে দেয়ার পর, উভয় দেশের বাণিজ্যিক পরিবহনগুলো আবারও চলতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে পারাপার শুরু করেছেন স্থানীয় অধিবাসীরাও।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে, ইসলামাবাদে আফগান রাষ্ট্রদূত ওমর জাখিলওয়ালের আলোচনার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

এর আগে গত পাঁচদিন ধরে পণ্যবাহী কার্গো ও ট্রাকগুলো সীমান্ত পথের দু’পাশে আটক পড়েছিলো। পাক-আফগান অভিন্ন সীমান্তের কিছু অংশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার কারণে তোরখাম সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অবৈধভাবে যাতায়াত বন্ধে অভিন্ন সীমান্তের কিছু কিছু অরক্ষিত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল পাকিস্তান। উত্তেজনা সৃষ্টির পর দেশ সীমান্তে দুই পক্ষ থেকেই ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছিল।

আফগান ও পাকিস্তান নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরুর পাঁচ দিন পর গতকাল শনিবার তোরখাম সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছে। এক্সপ্রেস নিউজ খবরটি নিশ্চিত করেছে। গত রোবাবর পাকিস্তান অংশে একটি গেট নির্মাণের সময় রাত ৯টায় গুলি বর্ষণ করেন আফগান সীমান্ত রক্ষিবাহিনী। পরে সীমান্তে ক্রসফায়ার শুরু হলে উভয় পক্ষের লোকজন হতাহত হয়।

জানা গেছে, দুই প্রতিবেশী দেশের নেতারা সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে কারফিউ প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দু’টি দেশই বাণিজ্য কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে সীমান্ত খুলে দেয়।

আফগান এবং পাকিস্তানি সেনা সদস্যদের মধ্যে কয়েকদিনের সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন। তোরখাম সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন গড়ে অন্তত দেড় হাজার আফগান, পাকিস্তানে প্রবেশ করে।

সংকট নিরসনে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফের সঙ্গে ন্যাটো কমান্ডার জেনারেল জন নিকোলসনও দেখা করেছেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন:

দ্বিতীয় ইনিংসে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের আগেই চলে গেলেন রাজন

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ব্রেক্সিট ভালো কিছু নয়

/এসএ/