দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট

এখনই চলে যাও! ব্রিটেন ও ক্যামেরনকে ইইউ’র বার্তা

nonameব্রিটেনকে অনতিবিলম্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। সেই সঙ্গে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকেও দ্রুত পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানায় সংগঠনটি। রবিবার দেশটির অন্যতম দৈনিক পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট খবরটি প্রধান শিরোনাম প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করেছে।

ব্রিটেনে বৃহস্পতিবারের (২৩ জুন) গণভোটে ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্ত বা ব্রেক্সিট জয়ী হওয়ার পর ইইউ-র ছয় প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই আহ্বান জানান। তাদের মতে, এখন ব্রিটেন যত দেরি করবে, তত সমস্যা বাড়বে। এদিকে জোটটিতে থাকা অন্যান্য দেশগুলো যেন জোট থেকে চলে না যায়, সে ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানান তারা।

গণভোটের দু’দিন পর, শনিবার জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, বেলজিয়াম, লাক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বার্লিনে এক জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন। এরপরই ওই ঘোষণা প্রদান করা হয়।

জরুরি এই বৈঠক থেকে ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, ইইউ-র সঙ্গে আলোচনা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সেরে ফেলার জন্যে।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টেইনমেয়ার বলেছেন, ‘যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। কারণ তাদেরকে ইউরোপের ভবিষ্যতের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল বলেন, ‘বেরিয়ে যাওয়ার জন্যে ব্রিটেনের তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই। আবার এই প্রক্রিয়া চিরকালের জন্যে চলতে থাকবে, এমনটাও নয়।’

গণভোটে ইইউ ছাড়ার পক্ষে ভোট পড়েছে ৫২ শতাংশ আর থাকার পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৮ শতাংশ। এ রায়ের পর অক্টোবর নাগাদ পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন ডেভিড ক্যামেরন। দল থেকে অন্য কোনও নেতাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন প্রধানমন্ত্রীই ব্রেক্সিট ইস্যুতে ইইউ-র সঙ্গে আলোচনা করবেন।

এর প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলজ বলেন, ‘লিসবন চুক্তির অনুচ্ছেদ ৫০ অনুযায়ী ব্রেক্সিটের প্রক্রিয়া দ্রুত করা যায় কিনা তা নিয়ে ইইউ-এর আইনজীবীরা খতিয়ে দেখছেন। লিসবন চুক্তির ওই অনুচ্ছেদে ইইউ থেকে সদস্য দেশের আলাদা হওয়ার প্রক্রিয়া উল্লেখ করা থাকলেও তা এখনও পরীক্ষিত হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাপারটি কেবল যুক্তরাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ রয়েছে। তারা যে অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্য একতরফা ঘোষণা দিয়েছে সেটি আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। কিন্তু তা শেষ কথা হতে পারে না।’

/এসএ/এএ/