যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে নামছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে ও লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার তাদের মনোনয়নের ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে। এই বিষয়টিকেই বৃহস্পতিবার প্রধান শিরোনাম প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।
জনসন ও মে উভয়েরই দাবি, তারা যুক্তরাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্ষম হবেন। ব্রেক্সিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে ক্যামেরনের পদত্যাগের ঘোষণার পর টোরি নেতা ও প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে নামছেন তারা। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার থেরেসা মে ও বরিস জনসন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দেবেন। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী লিয়াম ফক্সেরও একই দৌড়ে নাম লেখানোর কথা রয়েছে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে থেরেসা মে প্রার্থিতা ঘোষণা করবেন। প্রথম সারির লিভ ক্যাম্পেইনারদের (ইইউ থেকে বের হয়ে আসার পক্ষের লোক) ব্রেক্সিটের জন্য তৈরি নতুন বিভাগের দায়িত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেবেন তিনি। ব্রিটেনের জন্য সম্ভাব্য সেরা চুক্তিগুলো নিয়ে আলোচনা করতে দল ও দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানাবেন থেরেসা।
বরিস জনসন তার প্রার্থিতা ঘোষণা করবেন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে। মনোনয়ন ঘোষণার সময়সীমা শেষ হওয়ার মাত্র আধা ঘণ্টা আগে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করবেন তিনি। আইনমন্ত্রী ব্রেক্সিটপন্থী মিশেল গোভের সঙ্গে যৌথভাবে লড়াইয়ে নামার কথা রয়েছে তার। সামাজিক গতিশীলতা ও সহানুভূতিশীল রক্ষণশীলতায় নিজের আস্থার কথা জানাবেন তিনি।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এর মধ্য দিয়ে ইইউ ক্যাম্পেইনে তার অঙ্গীকারনামাকে প্রমাণ করার ইঙ্গিত দেবেন জনসন। ইইউ ক্যাম্পেইন চলার সময় জনসন বলেছিলেন, অভিজাতদের নয়, সাধারণ জনগণকে সহায়তা করার পক্ষেই তার অবস্থান।
উল্লেখ্য, ২৩ জুন অনুষ্ঠিত গণভোটে ব্রিটেনের জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়নে না থাকার পক্ষে রায় দেওয়ার পর পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। আসছে অক্টোবরের মধ্যেই পদত্যাগ করবেন বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন ১০ নং ড্রাউনিং স্ট্রিটে গণভোটের ফল নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ জনগণের জন্য এখন নতুন নেতৃত্ব দরকার। যুক্তরাজ্যের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনকে গৌরবের মন্তব্য করে আবেগাক্রান্ত ক্যামেরন বলেন, এই ‘জাহাজ এখন একজন নতুন নাবিকে’র জন্য অপেক্ষা করছে। আসছে অক্টোবরের দলীয় সম্মেলনে নতুন প্রধানমন্ত্রী খুঁজে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
/এসএ/এএ/