মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে আতাতুর্ক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক টার্মিনালে ওই হামলা চালানো হয়। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, হামলার পরদিন সকালেই বিমানবন্দরে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়।
হামলার পর প্রাথমিকভাবে ৩৬ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। পরদিন কর্মকর্তারা জানান, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।
হামলায় নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই তুরস্কের নাগরিক। সেই সঙ্গে ১৩ জন বিদেশি নাগরিকও ওই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।
বিমানবন্দরের টার্মিনালের প্রবেশপথে তিন হামলাকারী প্রথমে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। পরে নিরাপত্তাবাহিনী তাদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছুড়লে হামলাকারীরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়।
হামলার পর বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিছু ফ্লাইট অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানান, বিমান চলাচল আবার শুরু হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ে এই হামলা একটি মোড় ঘোরানো ঘটনা হিসেবে কাজ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘আজ ইস্তানবুলে যে বোমা বিস্ফোরিত হলো, তা দুনিয়ার যেকোনও শহরে হতে পারতো।’
এ হামলার নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানি থেকেও একই ধরনের ঘোষণা এসেছে। সন্ত্রাস-উগ্রবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক তৎপরতা জোরদার করার কথা বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতের রক্তক্ষয়ী এই হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-কে সন্দেহ করা হচ্ছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, ‘নিরীহ লোকজনকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলা একটি গর্হিত কাজ। এ হামলা একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কাজ।’ বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যে দেখা যায়, তিন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী গুলি ছোড়ার পর নিজেদের উড়িয়ে দিয়েছে। হামলাকারীরা ট্যাক্সিতে করে বিমানবন্দরে আসে। প্রাথমিক তথ্য আইএস-এর জড়িত থাকার বিষয়টি ইঙ্গিত করছে।’
/এসএ/এএ/