দ্য গার্ডিয়ান

ঈগলের প্রস্থানে করবিনের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী স্মিথ

ব্রিটেনে লেবার পার্টির দলীয় নেতৃত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছেন জেরেমি করবিন ও ওয়েন স্মিথ। দলীয় নেতৃত্বের আরেক প্রত্যাশী অ্যাঞ্জেলা ঈগল নেতৃত্বের লড়াই থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চূড়ান্ত লড়াইয়ে থাকছেন তারা দুজন। এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার শিরোনাম করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

লেবার পার্টির দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দুজনের মধ্যে যিনি দলীয় এমপিদের সমর্থন কম পাবেন তিনি জেরেমি করবিনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর দৌড় থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে সমঝোতার আভাস পাওয়া গেছে। লেবার সদস্যদের মধ্যে চালানো এক জরিপে করবিনের প্রতি বেশি সমর্থনের আভাস দেওয়ার পরই ঈগল ও স্মিথ এ সমঝোতায় পৌঁছান বলে মনে করা হচ্ছে।

The Guardian

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেরেমি করবিনবিরোধী ভোট যেন ভাগ না হয়ে যায় তার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঈগল ও স্মিথ। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার তাদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ওয়েন স্মিথ এরইমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ লেবার এমপিদের সমর্থন পাওয়ার জন্য চলমান প্রক্রিয়ায় খুব একটা সমর্থন না পেলে তিনি সরে দাঁড়াবেন। অবশ্য ঈগলের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত ঈগলের চেয়ে স্মিথের প্রতি লেবার এমপিদের সমর্থন বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের আলাদা না হওয়ার পক্ষে অর্থাৎ ‘রিমেইন’ শিবিরের হয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন। তবে ব্রিটিশ জনগণের রায় এর বিপক্ষে যাওয়ার পর দলীয় নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন তিনি। করবিন মনে করেন,ব্রেক্সিট প্রশ্নে জনগণের এই অবস্থান লেবার রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে এসেছে। আবাসন, কর্মসংস্থান, সুরক্ষা, ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রশ্নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিকল্প হাজির করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

করবিনের মতে, দলে যারা তার প্রতি অনাস্থা এনেছেন,তাদের সেই কাজ বাদ দিয়ে লেবার রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা পালন করা উচিত।  উল্লেখ্য,দলের তৃণমূল কর্মীদের নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে লেবারদের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

জুনে ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি বেনকে বরখাস্ত করার বিষয়টি মূলত করবিনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আহ্বান করার ক্ষেত্রে লেবার এমপিদের জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল। মঙ্গলবার হিলারি বেন বলেন, তার দল ‘একটি নিরানন্দের ও কঠিন সময় পার করছে’। অবশ্য তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, দলের সদস্যরা যদি করবিনকে পুনর্নির্বাচিতও করে তারপরও লেবার সদস্যরা বিভাজিত হবে না।

সম্প্রতি ইউগভের এক জরিপে দেখা গেছে, দলীয় নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে করবিনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জকারীর সংখ্যা যদি একজনও বেড়ে যায় তবে তারা নিজেরাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। তাছাড়া ওই জরিপে বলা হয়েছে ২০ শতাংশেরও বেশি ভোটে স্মিথ ও ঈগল দুজনকেই হারানোর ক্ষমতা রাখেন করবিন।

শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চালানো জরিপে দেখা গেছে ৪৪ শতাংশ লেবার সদস্য বলেছেন তারা করবিনের পক্ষে ভোট দেবেন। যা দুই সপ্তাহ আগের জরিপের চেয়ে আট শতাংশ বেশি।  তাছাড়া ১৩ শতাংশ সদস্য জানিয়েছেন তারা করবিনকে ভোট দিতে পারেন।

/এমপি/